My Personal Blog ...

বিবাহ - কাহলিল জিবরান



তোমরা একত্রে জন্মগ্রহন করেছ এবং চিরকাল একত্রে থাকবে।
   মৃত্যুর শুভ্র ডানা যদি তোমাদের জীবন ছিন্নভিন্ন করে দেয় তবুও তোমরা অবিচ্ছিন্ন থাকবে।
   হ্যাঁ, বিধাতার নীরব সৃতিতেও তোমরা একত্রে থাকবে।
   তবে একত্রে থেকেও তোমাদের মাঝে দূরত্ব বজায় থাক
   এবং তোমাদের মাঝে স্বর্গের বাতাস নেচে নেচে বয়ে যাক।

   তোমরা একে অপরকে ভালোবেসো, কিন্তু ভালোবাসার বন্ধন গড়ে তোল না,
   বরং তোমাদের ভালোবাসা হক দুটি হৃদয়ের বেলাভূমির মাঝে এক উচ্ছ্বাসিত সমুদ্র।
   তোমরা একে অপরের পেয়ালা ভরে দাও, কিন্তু একই পেয়ালা থেকে পান করো না।
   তোমরা একে অপরকে নিজ খাদ্যের ভাগ দাও কিন্তু একই খাদ্য খেও না।
   তোমার একত্রে গান গাও, নৃত্য কর এবং আনন্দে মেতে উঠো, কিন্তু তোমরা প্রত্যেকে থেক স্বতন্ত্র ।
   কারন বীণার প্রতিটি তার যদিও স্বতন্ত্র তবু একই সূরে তারা শিহরিত হয়।

   তোমরা তোমাদের হৃদয় বিনিময় কর, কিন্তু একে অপরের হাতে তা সপে দিও না।
   কারন একমাত্র মহাজীবন তার হাতে তোমাদের হৃদয় ধারন করতে পারে।
   তোমরা একত্রে থাকো, কিন্তু অতি-সংলগ্ন হয়ে থেকো না,
   কারণ মন্দিরের স্তম্ভগুলো তাদের মাঝে দূরত্ব রেখে দারিয়ে থাকে

   এবং ওক ও সাইপ্রেস গাছ একে অপরের ছায়ায় বাড়তে পারে না। 

আত্মদর্শন - কাহলিল জিবরান



তোমার অন্তর নিঃশব্দে দিবস ও রজনীর রহস্য জানে।
   কিন্তু তোমার শ্রবণেন্দ্রিয় তোমার অন্তরের উপলদ্ধিকে শব্দে শোনার জন্য তৃষ্ণার্ত।
   তোমার চিন্তায় তোমার চির-চেনা বিষয়গুলো তুমি কথায় জানতে চাও।
   তোমার স্বপ্নে দেখা নগ্ন দেহগুলিকে তুমি আঙ্গুল দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে চাও।

   এবং তোমার তাই করা উচিত।
   তোমার অন্তরের গোপন প্রস্রবন অবশ্যই উপরে উঠে আসবে এবং কলকল শব্দে সমুদ্রের দিকে বয়ে
 যাবে,
   এবং তোমার অতল গভীরের রত্নরাজি তোমার দৃষ্টির সামনে উদ্ভাসিত হবে।
   তবে তুমি তোমার অজ্ঞাত ধনরত্ন ওজন করার জন্য নিক্তির সন্ধান কর না;
   এবং তুমি তোমার জ্ঞানের গভীরতাও মাপদন্ড কিংবা রশি ফেলে পরিমাপ করতে যেও না।
   কারন তুমি অসীম এবং অপরিমেয় এক সমুদ্র।

   ‘আমি সত্যের সন্ধান পেয়েছি’- এ কথা না বলে তুমি বরং বলো, ‘আমি একটি সত্য পেয়েছি’।
   ‘আমি আত্মার পথ খুঁজে পেয়েছি’- এ কথা না বলে তুমি বরং বলো, ‘আমি আমার চলার পথে আত্মার দেখা পেয়েছি’।
   কারন আত্মা সর্বপথগামী।
   আত্মা সুনির্দিষ্ট পথ ধরে চলে না, বেনুকান্ডের মত সজা বেড়ে উঠে না ।

   আত্মা অসংখ্য পাপড়িমেলা পদ্মের মতো বিকশিত হয়। 

ওমরাহ্‌ পালন ( ব্যক্তিগত ছবি ব্লগ )


প্রথমে ভেবেছিলাম, এ ছবিগুলো এখানে শেয়ার করব না। কিন্তু, এ ওয়েবসাইট যেহেতু আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি (!) তাই এখানে শেয়ার করা দোষের কিছু না ! অনেক ছবি সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে, জীবনের প্রথমবারের এই ক্ষণ স্মৃতি যেন হারিয়ে না যায়, তাই এখানে পাকাপোক্ত ব্যাবস্থা করলাম। ওমরাহ্‌ কিংবা হজ করার সময় ছবি নেয়া ঠিক নয়, তারপরেও কিছু ছবি নিয়েছি। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশীয় সহকর্মীর সাথে ওমরাহ্‌ পালনের সুযোগ হয়েছিল। সামান্য কয়েকটি ছবি তুলতে পেরেছিলাম স্মৃতি হিসাবে। একান্ত কৌতূহলী না হলে, বারণ করছি ছবিগুলো দেখতে !!






















সন্ধ্যার একটু আগে ...



দিবাসনকে বিদায় জানিয়ে যখন সন্ধ্যা নামে, রোজকার মত যে বিশাল পরিবর্তন ধরাধামে ঘটে- তা নিয়ে আমরা কেউ কখনও চিন্তা করি না। দিন ও রাতের মিলনের সন্ধিক্ষণ সময় খুবই অল্প এবং মাত্র দু বারেই তা ঘটে। এক সূর্যোদয়ের সময়, দুই সূর্যাস্ত। রাত জেগে কাজ করার কারনে অনেক রাতে ঘুমোতে যাই এবং ঘুম থেকে উঠি অনেক দেরীতে - এ জন্য সূর্যোদয় দেখা আমার কপালের ব্যাপার ! তাই, মোবাইলে তোলা কিছু গোধূলি বেলার ছবি- সূর্যাস্তের ছবি শেয়ার করলাম ।
















মহেড়া জমিদার বাড়ি ( টাঙ্গাইল )



স্কুল জীবনের এক বন্ধুর সাথে অনেক বছর পরে দেখা-সাক্ষাত, প্ল্যান হল মড়েরা জমিদার বাড়ি দর্শনের। সেই উদ্দেশ্যে ঢাকা রওনার পথে ঘণ্টা দেড়েকের জন্য যাত্রা বিরতি দিলাম মোটর সাইকেল যাত্রার। হাতে সময় অনেক কম ছিল বিধায় অনেক অনেক ছবি তুলতে পারিনি।  অনেক সুন্দর সুন্দর স্থাপনা দেখার বাকি রয়ে গেছে। পরে যদি কখনও এখানে ফের আসার সুযোগ হয় তবে ছবি তুলে পোষ্টে যোগ করে দিব। মনোরম পরিবেশ, সেই সাথে টিকেটের মূল্য মাত্র ৫০ টাকা। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন এ দামই ছিল। এখন হয়ত বাড়তে পারে। তবে যাই হোক, সময় সুযোগ হলে ঘুড়ে আসতে পারেন মহেড়া জমিদার বাড়ি। আপনার মুল্যবান সময় ও অর্থ অপচয় হবে না বলেই আমার বিশ্বাস।