বিবেক বলল-
সেদিন উৎসবমুখর ছিল
সমস্ত লোকালয়- পরিবেশ।
উৎসব আনন্দের
প্রাঞ্জলতায়
আমি ছিলাম- যেন অনাহূত
এক অথিথি।
এখানে আমার কোন বন্ধু
নেই
নেই- একটু সময়ের সুখের
কোন আচ্ছাদন।
অনাহুত আমি দূরত্ব
সমীরণের উদ্দেশ্যে
সপে দিলাম আজকের
কোলাহলমুখর রাস্তায়
একটি গন্তব্যে- একটি
বাসভূমিতে
এখানে আমি সাদর
আমন্ত্রিত
এখানে আমি আত্মীয়তার
বন্ধনে,
যদিও হঠাৎ- তবুও বন্দী।
অথিতিয়তার শেষ পর্বে
বারান্দার ডাইনিং-এ এক
কোনায়
সেই ‘বিশেষ মেয়েটির’
সাথে কথা হল অনেক
আমার অনেক কিছুই সে
অবগত-
যদিও তার সাথে পরিচয়
কিংবা কথোপকথন
কোন কালেই ছিল না।
এক সময় দিনের শেষ
রশ্মিটুকুও মুছে গেলে
বিদায় নিয়ে আমি সদর
রাস্তায় নামলাম।
আপন গন্ত্যব্য এখান থেকে
অনেকটা দূরে
তাঁরার পানে চেয়ে-
নক্ষত্ররাজির স্বপ্নমালায়
পথ চলছি আপন মনে।
এক সময় কল্পনা রাজ্যের
লাগাম ছুটে গেল
আমি ভাবলাম, ভাবছি- সেই
মেয়েটিকে নিয়ে।
বেহিসেবী অবান্তর সেই
চিন্তা ধারা
যেন অলীক কিছুর সাথে
বাস্তবের তুলনা।
তন্ময় আমি! হঠাৎ কে যেন-
আমার কানের কাছে ফিসফিস
করে উঠল
হ্যাঁ
বিবেক বলল-
‘অবাস্তব কে মিছে
কল্পনার চেয়ে
বাস্তবতার ক্ষুদ্রতা
অনেক শ্রেয়।
(২০০০)
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments :
Post a Comment